TOP Menu

স্বল্পকালীন উৎপাদন অপেক্ষক - দীর্ঘকালীন উৎপাদন অপেক্ষকের মধ্যে পার্থক্য

 

স্বল্পকালীন উৎপাদন অপেক্ষক ও দীর্ঘকালীন উৎপাদন অপেক্ষকের মধ্যে পার্থক্য কী?

স্বল্পকালীন উৎপাদন অপেক্ষক - দীর্ঘকালীন উৎপাদন অপেক্ষক অর্থনীতি বিষয়ে প্রশ্ন-উত্তর

উৎপাদনের উপাদানসমূহ ও উৎপাদন দ্রব্যের মধ্যে যে সম্পর্ক লক্ষ্য করা যায় তাই উৎপাদন অপেক্ষক। উৎপাদন অপেক্ষককে দুই ভাগে ভাগ করা যায়। যথাঃ-

১। স্বল্পকালীন উৎপাদন অপেক্ষক এবং 

২। দীর্ঘকালীন উৎপাদন অপেক্ষক। 

নিম্নে এদের তুলনামূলক পার্থক্য তুলে ধরা হল 

১। সংজ্ঞাঃ 

যে উৎপাদন অপেক্ষকের সকল উপাদান স্বল্প কালে স্থির থাকে তাকে স্বল্প কালীন উৎপাদন অপেক্ষক বলে। পক্ষান্তরে, যে উৎপাদন অপেক্ষকের সকল উপাদান পরিবর্তনশীল তাকে দির্ঘকালীন উৎপাদন অপেক্ষক বলে। 

২। পরিবর্তনঃ 

স্বল্পকালে সকল উপাদান পরিবর্তন করা যায় না। পক্ষান্তরে, দীর্ঘকালে এ উপাদান পরিবর্তনশীল। 

৩। নির্দেশঃ 

স্বল্পকালীন উৎপাদন অপেক্ষক সাধারণত অসমজাতীয় উৎপাদন অপেক্ষক নির্দেশ করে। অপরদিকে, দীর্ঘকালীন উৎপাদন অপেক্ষক সাধারণত সমজাতীয় উৎপাদন অপেক্ষক নির্দেশ করে। 

৪ । অপেক্ষকঃ

স্বল্পকালীন উৎপাদন অপেক্ষক হচ্ছেঃ Q = f (L, Ko)। পক্ষান্তরে, দীর্ঘকালীন উৎপাদন অপেক্ষক হচ্ছে Q  = (L, K)

৫। সম্পৃক্ততাঃ

স্বল্পকালীন উৎপাদন অপেক্ষক পরিবর্তনশীল উপাদান অনুপাতবিধির সাথে সম্পর্কিত। পক্ষান্তরে, দীর্ঘকালীন উৎপাদন অপেক্ষক মাত্রগত উৎপাদন বিধির সাথে সম্পর্কিত।



Post a Comment

1 Comments